দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বরগুনায় মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বাদী বাবা মন্টু চন্দ্র দাসকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের চারদিন পরেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো হত্যাকারী শনাক্ত করতে পারেনি।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামি শনাক্ত করতে আরও সময় প্রয়োজন।’
ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- সৃজীব চন্দ্র রায়, তার বাবা শ্রীরাম রায়, সৃজীবের সহযোগী কালু ও রফিক। গ্রেপ্তারকৃত সকলেই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি করইতলা এলাকায় মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরআগে, ৫ মার্চ তার মেয়ে অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার হলে মন্টু চন্দ্র দাস মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে ৭ মার্চ সৃজীব চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্টু চন্দ্র দাসের স্ত্রী জানান, ‘মেয়েকে ধর্ষণের পর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার তারিখের আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি, ধর্ষণ মামলার অভিযুক্তদের পরিবারের কেউ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে, তবে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে আরও সময় প্রয়োজন।’
আরএ