দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পৃথক স্থানে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কচুয়া ও চিতলমারী উপজেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুপুরে কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দেপাড়া বাজার এলাকায় দুই সভাপতি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ধোপাখালি ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে লিয়াকত হোসেনকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং লিয়াকত হোসেনের ভাই শওকত হোসেন ও যুবদল নেতা জুয়েল রানাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত লিয়াকত হোসেন জানান, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে কাদের, আলমগীর, শিমুল, শ্রমীক লীগ নেতা সুমন, আফজাল হাওলাদার, হেদায়েত, ইস্কান্দার, ফজু, হুমায়ুন ইশারাত মেম্বারসহ ২৫-৩০ জন আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় তিনিসহ ১৫ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, হামলার খবর শুনেছি। বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার বিষয় অস্বীকার করে আফজাল হোসেন বলেন, এই হামলার সঙ্গে তিনি ও তার নেতাকর্মীরা জড়িত নন।
কচুয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ই্সলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উক্ত ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এদিন দুপুরে চিতলমারী উপজেলায় কলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চরচিংগুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় কিবির মাস্টার ও মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টুংগিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ঘটনায় পরস্পবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- কিবরিয়া মাস্টার গ্রুপের আরিফুজ্জামান (৪৫), দবির শেখ (৪০), ভুলু মোল্লা (৫০) ও আব্দুল আলী (৩০)। মোস্তাফিজুর রহমান কচি গ্রুপের আহতরা হলেন- খাদিজা বেগম (২৯), ইউনুছ শেখ (৫৫), ওসমান শেখ (৪০), কদম আলী (৪৫) ও শাহিদা বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে আরিফুজ্জামান ও খাদিজা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কিবরিয়া মাস্টারের অভিযোগ, মোস্তাফিজুর রহমান কচির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। এতে তাদের ৬ থেকে ৭ জনকে আহত জখম করে।
মোস্তাফিজুর রহমান কচি জানান, তার পক্ষের লোকজন জয়লাভ করেছে। এমনটা শুনতে পেরে কিবির মাস্টারের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ৭ থেকে ৮ জনকে গুরুতর জখম করেছে।
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস বলেন, ‘সম্মেলন কেন্দ্রের ৫০০ গজের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটেনি। কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী কিবির মাস্টারের ছেলে ও তার লোকজনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা হামলা চালিয়েছে। এর সঙ্গে আওয়ামী মাইন্ডের লোকজনও জড়িত আছে। যদি বিএনপির লোকজন জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংহঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
চিতলমারী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএ