দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নড়াইলে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হাসান বাবুল মঙ্গলবার স্বাক্ষতির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্বাক্ষরিত কমিটিতে হিমায়েত হুসাইন ফারুককে আহ্বায়ক ও শোয়েব মিনাকে সদস্য সচিব এবং ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম রুবেলকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ত্যাগিদের বাদ দিয়ে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে লোহাগড়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের সিএন্ডবি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন পারভেজ, জেলা কৃষক দলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব এনামুল কবীর চন্দন প্রমুখ।
স্বৈরাচারের দোসর ও বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যন হিমায়েত হুসাইন ফারুককে নড়াইল জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক করার অভিযোগ উঠেছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে এমন ছবি ও ভিডিও।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষ ১২নং বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বস্থরের জনগণকে হিমায়েত হুসাইন ফারুক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানান। মাথার উপরে শেখ মুজবুর রহমান ও সজিব ওয়াজেদ জয় ডানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও নড়াইল-১ আসনের সাবেক ৪ বারের এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তির ছবি।
মো. হিমায়েত হুসাইন ফারুক নড়াইল সদরের ১২নং বিছালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এমন একটি ছবিসহ বেশ কিছু আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিরসহ নেতাদের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। তাকে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন পারভেজ অভিযোগ করেন, নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তির আর্শিবাদে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের সঙ্গে সখ্যতার জন্য তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
বিএনপির দলীয়ভাবে নির্বাচন ত্যাগ করলেও তিনি দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এখন তাকে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক করায় আমরা হতাশ।
দলের দুর্দিনের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের সকল মন্ত্রী, এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাদের সঙ্গে গভীর সখ্য গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময়ে বক্তব্যও দেন সভা সমাবেশে বলে অভিযোগ করেন জেলা কৃষক দলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব এনামুল কবীর চন্দন।
আরএ