দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নাটোরের গুরুদাসপুরে শিশু ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ গুমের চেষ্টার অভিযোগে সাকিব হোসেন নামে এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নাটোরের শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাকিব হোসেন গুরুদাসপুরের বালসা গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে ও সম্পর্কে শিশুটির চাচাতো ভাই।
নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন তালুকদার টগর জানান, ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে শিশু খাদিজা বাড়ির পাশে তার চাচা মিলন হোসেনের বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। এ সময় খাদিজার চাচাতো ভাই সাকিব হোসেন বাড়িতে একাই ছিল। পরে সাকিব খাদিজাকে প্রথমে ধর্ষণ করে ও পরে গলা টিপে হত্যা করে। বিকেলে সাকিবের মা ও বাবা বাড়িতে আসলে ঘটনাটি জানতে পেরে শিশুটির মরদেহ লোহার ট্যাংকে ভরে রেখে দেয়।
এদিকে, দীর্ঘ সময় শিশু খাদিজাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২১ ডিসেম্বর গুরুদাসপুর থানায় একটি জিডি করেন নিখোঁজ শিশু খাদিজার বাবা মনিরুল ইসলাম। পরে সাকিবের মা ও বাবা মিলে শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
পরে ২২ ডিসেম্বর পুকুর থেকে খাদিজার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ তদন্ত করে শিশু খাদিজার চাচাতো ভাই সাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক ঘটনার সময় সাকিব হোসেনের বয়স ১৬ বছর হওয়ায় কিশোর অপরাধ হিসেবে সাকিব হোসেনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরএ