দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পটুয়াখালীর বাউফলে শ্বশুরের কুলখানিতে না যাওয়ায় জামাই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার জমি চাষের সময় ট্রাক্টর উল্টে পারভেজ মাতব্বরের শ্বশুর মানিক রাঢ়ীর মৃত্যু হয়। রোববার মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে পারভেজের সম্মন্ধি সাকিল রাঢ়ী তার ভগ্নিপতিকে দাওয়াত দেন। কিন্তু মিলাদে তিনি অংশ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সম্মন্ধি সাকিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ভগ্নিপতি পারেভেজ মাতব্বরের বাড়ি এসে তার বসতঘরে হামলা চালিয়ে দরজা-কবাটসহ আসবাবপত্র, থালাবাটি ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পারভেজ মাতব্বর জানান, মনোমালিন্য চলায় স্ত্রী মীম আক্তার বাবার বাড়ি চলে যান। এ কারণে অভিমান করে তিনি শ্বশুরের মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানে যাননি। এ কারণে তার সম্মন্ধি সাকিল রাঢ়ীর নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং তাকেসহ তার মা ও বোনকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনা চলাকালে তার বাবা সিদ্দিক মাতব্বর থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারীদের আটক করেননি বলে অভিযোগ করেন পারভেজ।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাকিল রাঢ়ী বলেন, ‘আমার বোন মীম আমাদের বাড়িতে থাকে। সকালে তিনি আমার বাবার দোয়া মিলাদ ও খাবার অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি গেলে আমার ভগ্নিপতি তাকে মারধর করে আটকে রাখেন। এরপর নিজেই তার ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেন। পরে আমরা খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে আমার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএ