দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বরগুনার আমতলীতে বাস কাউন্টার দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১১ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আমতলীর নতুন বাজার বাধঘাট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ইউনিক পরিবহনের আমতলী কাউন্টার দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শনিবার সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা শামসুল হক তার অনুসারীদের নিয়ে কাউন্টার পুনরায় দখলের চেষ্টা করলে অন্য পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
এক পর্যায়ে বাধঘাট এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠিসোঁটা, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা হয়। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হন। সংঘর্ষে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও তার দুই ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকির গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া তার সমর্থক মিজান, আল-আমিন ও আলী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের নেতা শামসুল হক চৌকিদার, বেলাল চৌকিদার, নাসির হাওলাদার, রেজাউল ও আল-আমিন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকির ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী সার্কেল) মো. তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
আরএ