ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করছে: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পর‌ওয়ার বলেছেন, ফ্যাসিবাদের মাস্টারমাইন্ড খুনি হাসিনা ভারতে বসে উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে। গত কয়েকদিনে ৩২ নম্বরসহ দেশের ৩৫টি জেলার বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাংচুর হয়েছে। এসব হামলা-ভাংচুরের জন্য হাসিনাই দায়ী।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোনা জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, নির্বাচন তো দিতেই হবে। তবে নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন। প্রশাসনে যে জঞ্জাল জমে আছে। দলবাজ, দুর্নীতিবাজ- এসব ঝেটে প্রশাসনকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। এরা ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বার্থে সম্পৃক্ত পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ারি, সাংবিধানিক কিছু বিধি-বিধান, রাষ্ট্রের কিছু অর্গান, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত এসব ন্যূনতম সংস্কার আগে করতে হবে। তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর কারা, তাদের আচরণ, তাদের কথাবার্তা শুনলে টের পাওয়া যায়। প্রশাসনে আমরা যখন যাই ডিসি, এসপি, থানার ওসি, এসআই, প্রশাসনে গেলেই তাদের আচরণে বোঝা যায়। অনেকের কথার মধ্যে মধ্য দিয়ে এখনো ফ্যাসিবাদের গন্ধ আসে। প্রশাসনের এই জায়গাগুলো পরিস্কার করুন। যে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এক সাগর রক্ত গেল, হাজার হাজার জীবন গেল। দুই মাস আগে হলো, কী পরে নির্বাচনের দিন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কিনা, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটুকু টাইম লাগবে জামায়াতে ইসলামী সে সময় দিতে প্রস্তুত আছে।

সমাবেশে নেত্রকোনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক নেত্রকোণা জেলা আমির মাওলানা এনামুল হক, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি আবু ইউসুফ খান প্রমুখ।

কে