সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বিআরটিএ’র সাভার কার্যালয়ে গ্রাহক সেবায় হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যেসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২-এর সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে একটি দল সাভার উপজেলা চত্বরের ইউএনও অফিসের পাশে অবস্থিত বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সাভারের বিআরটিএ অফিসে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিআরটিএ অফিসে দালালের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের তিন সদস্যের একটি দল মঙ্গলবার দুপুরে সাভার বিআরটিএ অফিসে আসেন। এসময় তারা অফিসটিতে কাজ করা দালালদের সাথে লাইসেন্স করার বিষয়ে কথা বলেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২’র সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল সাভার বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে এবং গাড়ির ফিটনেসের জন্য দালালদের মাধ্যমে ৩-৪ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আমরা সকাল থেকেই ছদ্মবেশে যেখানে ফিটনেস দেওয়া হয় সেখানে ঘুরাঘুরি করি। দালালদের সাথে গ্রাহক হিসেবে কথা বলি এবং অনেকের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস নেওয়ার জন্য কথা বলি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো দালালরা আমাদের কাছে পরীক্ষা ছাড়াই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কথা জানায়। যা অত্যন্ত আতঙ্কের বিষয়। মাত্র তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত নিয়ে এসব লাইসেন্স দেওয়া হয়। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া ও গাড়ির ফিটনেস করানোর জন্য দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। পরে আমরা বিআরটিএ অফিসের বিভিন্ন নথিপত্র ঘেটে দেখি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে। আমরা এসব নথিপত্র নিয়েছি। এগুলো কমিশনে জমা দেবো এবং যাদের মাধ্যমে এসব কাজ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনিয়ম এবং দুর্নীটির বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ সাভার অফিসের ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমার অফিসে কোনো দালাল নাই। তবে সব গাড়ির মালিকতো অফিসে আসতে পারে না, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধিরা এসে কাজ করান। এখানে দুদক কিছু ফাইল পরীক্ষা করে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। সে বিষয়ে আমরা গাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলবো। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ফিটনেস দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
আরএ