সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কাজী রাকিব হোসেন ওরফে ভাইপো রাকিবকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আহতের মা ফয়জুন্নাহার আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- চাঁচড়া ইসমাইল কোলনীর কাজী খালিদ হোসেনের ছেলে ইমন, শংকরপুর পশু হাসপাতালের পেছনের বর্তমানে পুলেরহাট এলাকার মৃত পিয়ারু কাজীর ছেলে কাজী তারেক, চাঁচড়া জামতলা এলাকার তারেকের ছেলে তানভীর, মৃত জলিল মুন্সির ছেলে রিয়াজ, চাঁচড়া রায়পাড়ার তৈয়ব আলীর ছেলে সাব্বির, শংকরপুর সার গোডাউনের পেছনের মৃত আফজাল কাজীর ছেলে আকাশ, ইসকেনের ছেলে ইয়াসিন ও বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের কানা বাবুর ছেলে সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন।
ফয়জুন্নাহার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে রাকিব চাঁচড়া বাবলাতলার মোড়ে মাছের পোনার ব্যবসা করেন। আসামিরা মাদকদ্রব্য ওই এলাকায় সরবারহ করে থাকে। তার ছেলে আসামিদের নিষেধ করায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। গত ১৯ জানুয়ারি তার ছেলে বাড়িতে ছিল। রাত পৌনে ১০টার দিকে আসামি তানভীর তার বাড়ির মধ্যে ঢোকে এবং কথা আছে বলে ডাক দিয়ে বাইরে নিয়ে যায়। রাকিব তার কথামতো বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর যান। রাকিবের মা নিজেও রাকিবের পিছু নেয়। সে সময় আসামি কাজী তারেকের নির্দেশে ইমন পরপর দুইটি গুলি করে। গুলি দুটি বকের দুই পাশে লাগে। এরপর আরও দুটি গুলি করলে একটি বাম হাতের বাহুতে অপরটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলি করার সাথে সাথে আসামিরা ৪/৫টি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তিনিসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তার ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ভাইপো রাকিবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় দুই ডজন মামলা রয়েছে। এছাড়া যাদেরকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে তারাও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এক সময় রাকিবসহ এ মামলার আসামিরা একই সাথে নানা ধরনের অপকর্ম করতেন।
আরএ