সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সম্পত্তির লোভে কৌশলে প্রেম করে বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
নিহত সৈয়দা হুমাইরা (১৯) উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চামারি এলাকার সৈয়দ আহমেদ হোসেন চৌধুরীর মেয়ে ও একই এলাকার রাকিব হাসানের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে গৃহবধূ হুমাইরার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরআগে গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে হুমাইরা মারা যাওয়ার পর তার স্বামী রাকিব হাসান স্ত্রীর মরদেহ মির্জাপুর হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে হুমাইরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই গ্রামের বখাটে রাকিব হাসান। এক পর্যায়ে জিম্মি করে হুমাইরাকে বিয়ে করে সে। হুমাইরার ভাইবোন না থাকায় তার বাবার সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দিতে নিয়মিত চাপ দিতো। মাঝে মধ্যে সম্পত্তির জন্য পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। স্বামীর এমন অনৈতিক চাওয়া এবং মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনের কথা পরিবারকে জানাতো হুমাইরা। নিহত হুমাইরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও তাকে সম্পত্তির জন্য চাপ দিতো। পরে শুক্রবার নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে হুমাইরার বাবা আহমেদ হোসেন।
নিহতের খালাতো ভাই মঈন আফ্রিদী বলেন, রাকিব এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। কৌশলে হুমাইরার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে জিম্মি করে বিয়ে করেছে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও তাকে হত্যা করে মরদেহ মির্জাপুর হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। অপরাধ করেছে তাই পালিয়েছে।
মেয়ের চাচা সৈয়দ আমির বলেন, যে রুমে মারা গেছে, সেই রুম বাইরে থেকে আটকানো ছিল। ভাইয়ের জায়গা জমি ভালো আছে। হুমাইরার ছাড়া ভাইয়ের কোনো ছেলে সন্তান না থাকার সুযোগে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো রাকিব। প্রেমের ফাদে ফেলে জিম্মি করে বিয়ে করেছে ওই বখাটে ও নেশাখোর। অন্তঃসত্ত্বা থাকার পরও ভাতিজিকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে ঘরে।
হুমাইরার বাবা সৈয়দ আহমেদ হোসেন বলেন, সম্পত্তির লোভে মেয়েকে কৌশলে বিয়ে করেছে সে। বিয়ের পরই সম্পত্তির জন্য মারধর করতো। মেয়েটাকে শেষই করে দিলো। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিবো। মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
আরএ