সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মাঘ মাসের শুরুতেই শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো কনকনে তীব্র শীতে জনজীবনের জবুথবু অবস্থা। আবারও মাঝারি শৈতপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭ ডিগ্রির ঘরে।
প্রতি বছর মাঘ মাসে পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সকালে ও সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলাতে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে বাইরে বের হলেও ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যায় এত বেশি শীত যে- বিছানার কাঁথা, কম্বল, লেপ পর্যন্ত হিয়াল (ঠান্ডা) হয়ে যাচ্ছে। বিকেল থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে সমগ্র জনপথ। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। দুপুরের পর ক্ষতিকের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়াতে পারে না।
রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এই শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এছাড়াও শীতজনিত নানান রোগ ব্যাধি তো লেগেই আছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় কৃষকরা মাঠে কাজে যেতে পারছেন না। এদিকে বোরো চারা রোপণের সময় হয়ে আসলেও ঠান্ডার কারণে কৃষকরা এখনও রোপেনর কাজ শুরু করেনি।
জেলার বোদা উপজেলার বোসপাড়া গ্রামের কৃষক তছলিম উদ্দিন বলেন, ঠান্ডাটা একটু কমে আসুক তারপর বোরো চাষে নামবো। বর্তমানে পঞ্চগড়ে ৭ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারী) পঞ্চগড়ে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এসময় বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ আর ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় আবহাওয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরএ