সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নড়াইল সদর উপজেলায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ভদ্রবিলা বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর পর থেকেই সমাবেশে অংশ নিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষেরা আসতে শুরু করে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তারা বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে সমবেত হন। এতে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষেরা সতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন ভদ্রবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী রকিবুদ্দিন সেন্টু, ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল শেখ, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জামান শেখ, মনিরুল ইসলাম কালু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পলইডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলাম আদালতে একটি মামলা করেছেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, গত ৪ আগস্ট নড়াইল সদর উপজেলার শেখ রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আন্দোলনে গিয়ে সে আহত হননি। কয়েকমাস আগে নিজ এলাকায় একটি গাছ থেকে পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙে যায়। পরে গ্রামবাসী অর্থ তুলে তার চিকিৎসা করায়। অথচ সে আন্দোলন গিয়ে আহত হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করে মামলা করেছেন। তাতে নিরীহ মানুষদের আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ভয় দেখিয়ে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা বলে মোটা অঙ্কে অর্থ দাবি করছেন শফিকুল।
ভদ্রবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী রকিবুদ্দিন সেন্টু বলেন, নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আগে একটা রয়না গাছ কাটতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে শফিকুল আহত হয়েছিলেন। এলাকার লোকজন টাকা উঠিয়ে তার চিকিৎসা করায়। আমার জানা মতে সে ৪ তারিখের মিছিলে ছিল, কিন্তু সেখানে গিয়ে সে কোনো গুলি খায়নি। আগের ভাঙা হাত দেখিয়ে সে মিথ্যা মামলা করেছে। এলাকার পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য নিরিহ মানুষকে আসামি করেছে।
ইউপি সদস্য রেজাউল শেখ বলেন, শফিকুল আমার বোন জামাই হয়। কিন্তু ওর কর্মকাণ্ডে আমার মান-ইজ্জত থাকতিছে না। লোকজনরে মামলার আসামি দেচ্ছে, দিয়ে তাগের কাছে টাকা চাচ্ছে। আমার অন্য দুই আত্মীয়কে মামলায় দেছে। তাদের দুইজনের নাম প্রত্যাহার করতে ৮ লাখ টাকা চাচ্ছে।
সরেজমিন এলাকায় গিয়ে মামলার বাদী শফিকুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে নড়াইল সদর আমলি আদালতে একটি অভিযোগ দেন শফিকুল ইসলাম। পরে ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এফএইচ/