- ট্রেন্ডিং টপিক
- |
- ডেঙ্গু
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
- সড়ক দুর্ঘটনা
- আদালত
- আবহাওয়া
- নির্বাচন
- বিএনপি
- জামায়াত
- চাকরির খবর
- নামাজের সময়সূচি
‘আ.লীগ যারা করেন, তারা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করেন’
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর (ভিপি নূর) বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগ করেন, তারা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করেন। আওয়ামী লীগের নাম মুখে নিলে জনগণ আপনাদের রাখবে না।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জেলা গণ অধিকার পরিষদ এ জনসভার আয়োজন করে। আর এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন।
নুরুল হক নূর বলেন, আগেই আমি বলেছিলাম আওয়ামী লীগের দশা আফগানিস্তানের মতোই হবে। বিমানের চাকায় করে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। হয়েছে ঠিক তাই। শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় পায়নি। দ্রুত দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। কেউ যদি আওয়ামী লীগের নাম নেয়, তার পরিণতি ভালো হবে না। এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাদের কোনো জায়গা হবে না।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, দেশে চাঁদাবাজি কমেনি, শুধু হাতবদল হয়েছে। যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
নুরুল হক নূর বলেন, আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অডিও ফাঁস হয়েছে, আগামীকাল নাকি ঢাকায় তারা সমাবেশ করবে। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আগামীকাল ঢাকার রাস্তায় একজন আওয়ামী লীগও নামতে দেওয়া হবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী রোকেয়া জাবেদ মায়া, সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, সংগঠনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরান আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাজু রায়হান প্রমুখ।
অ
