সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পণ্যবাহী পরিবহন শ্রমিকদের সংগঠন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন পেশিশক্তি ব্যবহার করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নকে জিম্মি করে রেখেছে। সরকারি নির্দেশনায় ২০১৬ সালে যাত্রীবাহী পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন’ নামে আলাদা একটি সংগঠনের নিবন্ধন হয়। যার নিবন্ধন নম্বর রাজ-৩০৬৩।
কিন্তু দীর্ঘ আট বছর ধরে এ সংগঠনটি ড্রয়ার বন্দি। বিধিমোতাবেক জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যাত্রীবাহী পরিবহন থেকে কোনো চাঁদা আদায় করতে পারবে না। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করে তারা অবৈধভাবে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস ও ঢাকা কোচ থেকে চাঁদা আদায় করছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে শহরের হরিপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ জুলমাত।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম আনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, কাউন্টার দখল, মারধর ও হুমকির অভিযোগ এনে বক্তব্য রাখেন আরেক শ্রমিক নেতা মো. শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল বারী, শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, সানাউল্লাহ সানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রউফ জুলমাত ও শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, দেশের ৬০ জেলাতে এ দুটি সংগঠন আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু পেশিশক্তির জোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নকে জিম্মি করে রেখেছে জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তারা আলাদা কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু নানাভাবে তাদের বাঁধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। শ্রমিকদের মারধর, হুমকি ও কাউন্টার দখল করে রাখা হয়েছে। জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার-৩০৬৩ ব্যবহার করে রশিদ ছাপিয়ে, সভাপতি- সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে চাঁদা আদায় করছে।
শ্রমিক নেতা জুলমাত ও শহীদ আরও বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের নামে যাত্রাবাহী পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন কমিটি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেটিও কার্যকর হয়নি। ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মালিকদের বাস সড়কের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা কাউন্টার দখল করে ৫ দিন ধরে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলার পরিবহন মালিকদের বাস চলাচলে সহায়তা করছে। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার যাত্রীবাহী পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংকটে পড়েছে পাঁচ শতাধিক মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য। এসব বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশিত সহেযাগিতা পাননি বলে অভিযাগ করেন তারা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন। বাস চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের (মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন) জনবল থাকলে তারা চালাবে। আমাদের ড্রাইভার তারা নিবে কেন? আমরা তাদের কোনো বাঁধা প্রদান করিনি। তাদের যোগ্যতা থাকলে তারা চালাবে। রশিদ জালিয়াতির বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
আরএ