সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লালমনিরহাটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত দিন ধরে অনশন করছে এক কলেজছাত্রী। এমন অবস্থায় প্রেমিকের বোন ও বাবা তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে করে ওই কলেজছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) বিকেলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় বাড়ির বাহিরে মাটিতে পড়ে আছে কলেজ ছাত্রীকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন প্রেমিকা।
এর আগে রোববার সকাল ৯টা থেকে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজিরচওরা গ্রামের ব্যবসায়ী এন্তাজ আলীর ছেলে প্রেমিক ইমরানের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই প্রেমিকা।
জানা যায়, চার বছর আগে একই কলেজে পড়ার সময় ইমরানের সঙ্গে দেখা ওই ছাত্রীর (প্রেমিকা)। সেই পরিচয়ের পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড় ওঠে। ইতোমধ্যে প্রেমিক ইমরান তার প্রেমিকা ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয় তাদের মধ্যে। পরে প্রেমিকা তার প্রেমিক ইমরানকে বিয়ের চাপ দিলে আজ কাল বলে কালবিলম্ব করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রেমিকা রোববার সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ইমরানের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। ওই সময় বাড়িতে ইমরানকে দেখতে পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে তাকে বিয়ে করতে বললে প্রেমিকা ইমরানের দুই বোন ও বাবা তাকে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের বেদম প্রহারে প্রেমিকা সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এই সুযোগে বাড়ির লোকজন প্রেমিক ইমরানকে বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।
এ সময় প্রেমিকার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ, ব্যাগে থাকা বিভিন্ন সার্টিফিকেট, তার বাবা-মায়ের ভোটার আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয় তারা। পরে তারা প্রেমিকার মোবাইল ফোনে প্রেমিক-প্রেমিকার গোপন সকল প্রমাণপত্র নষ্ট করে ফেলে।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল ইসলাম জানায়, তিনদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। আজ রাতে আবার বিষয়টি নিয়ে বসার কথা রয়েছে। আশা করছি আজকে একটা সমঝোতা হয়ে যাবে। সমঝোতা না হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে মেয়ে পক্ষ।
এ বিষয়ে প্রেমিকের বাবা এন্তাজ আলী বলেন, মেয়েটি আমার বাড়িতে আসার পর আমার ছেলে তাকে বিয়ে করতে রাজি ছিল। এজন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের ডাকা হয়। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের কোনো লোকজন না আসায় পরে আর বিয়ে হয়নি। তাই আমরা মেয়েটিকে আমার বোনের বাড়িতে রেখেছি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএইচ