সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মুহুরী নদীর বাঁধের ৬টি স্থান দিয়ে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকা অব্যাহত রয়েছে । ফুলগাজী উপজেলার অংশে নতুন করে আরো দুটি স্থান ভাঙ্গনে আমজাদহাট, বসন্তপুর, জগতপুর, দরবারপুরসহ দুই উপজেলার ১৫ গ্রাম প্লাবিত হযেছে। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙ্গনে কারণে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পুকুরের মাছ, আবাদি জমির ফসল, নষ্ট হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা ঘাট। চুলা নষ্ট হওয়ায় করতে পারছে না রান্না-বান্না।
এদিকে পরশুরাম উপজেলার শালধরের ভাঙ্গা অংশ দিয়েও কমেনি পানির স্রোত। প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল। বসতভিটা থেকে পানি নেমে গেলেও বাড়ির উঠানে পানি কমেনি। বাড়িঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে অনেক গ্রামবাসীকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি সকাল দশটার দিকে বিপদসীমার ১২ সে. মিটারের নীচে থাকলে ও বর্তমানে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আকরাম উদ্দিন জানান, নদীর বাঁধ ভাঙ্গা ফলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে দুই উপজেলায় আউশ ১০ হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজী সাড়ে ৫ হেক্টর ও আমন বীজতলা সাড়ে ১২ হেক্টর জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে। সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসিকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের জন্য দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলা উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।
এমএ