দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঘূর্ণিঝড় রিমাল কেটে গেছে, এখনও উপকূলে রয়ে গেছে ঝড়ের ক্ষত চিহ্ন। বিশেষ করে জোয়ারের পানি তাদের কষ্ট দিচ্ছে। টানা ৪ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে অন্তত ২৫ গ্রাম।
অনেকেই ভাঙা ঘর মেরামত করতে পারেননি। ফিরে আসতে পারেননি স্বাভাবিক জীবন-যাপনে। বিধ্বস্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। যদিও ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড সহ সেচ্জাসেবী সংগঠন।
পুরো জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৭৫ মেট্রিক টন চাল এবং নগত ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছ, বিধ্বস্ত এলাকায় রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও গাছপাল উপড়ে গেছে, দেখেই বুঝা যায় ঝড়ের ভয়াবহতা।
ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের দিন মজুর মনির হোসেন। চারদিন আগে ঝড়ের তাণ্ডবে তার একমাত্র আশ্রয় ভেঙে যায়। মাঠা গোঁজার জন্য পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়ি। কিন্তু দৈনিক ৫'শ টাকা মজুরির বেতনে ঘর মেরামত করতে না পেয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তিনি পাননি সরকারি সহায়তা।
মনির হেসেন বলেন, কিভাবে ঘর মেরামত করবো, কিভাবে জীবিকা চালাবো তার কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ পেলে কিছুটা হলেও সংকট দূর হবে।
শুধু মনির হোসেন নয়, তার মত যেন একই অবস্থা পুরো গ্রামের। ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানিবন্দি হাজার-হাজার মানুষ। অনেকের ঘরে জ্বলেনি রান্না ঘরের চুলা। তাই শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
পানিবন্দি রাজিয়া, বিলকিস ও জাকিয়া বেগম বলেন, জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকায় ডুবে আছে, এখনও জলাবদ্ধতা। অনেক মানুষ রান্না করতে পারছে না। আমাদেরও একই অবস্থা।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল কারো ঘর, কারো টিনের চালা কারো বা রান্না ঘর, গাছ-পালা ভেঙ্গে দিয়েছে। সৃষ্টি করেছে জলাবদ্ধতা। তাই কষ্টের যেন শেষ নেই তাদের।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করা হচ্ছে। সব উপজেলায় চলছে ত্রাণ বিতরণ।
ঝড়ে ৫ হাজার ঘর আংশিক ও ২ হাজার ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেসে ঘেছে কোটি টাকার পুকুর-ঘের ও ফসলি জমি। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০টি, মাধ্যমিক ২ টি সম্পূর্ণএবং ৫৪টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং কলেজ আশিংক ৪টি, মাদ্রাসা সম্পর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি ও মৎস্যের ক্ষতির পাশাপাশি ১১ কিলোমিটার বাধ এবং অসংখ্য কাঁচা-পাকা রাস্তা ক্ষতি হয়েছে।
এম