সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুষ্টিয়া থেকে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও মসারত মন্ডলের ছেলে কুবাদ আলী (৪২)। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে নড়াইলের ডিবি পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪শ’ অবৈধ মোবাইল সিম ও ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বুধবার (২৯ মে) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দোলন মিয়া, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছাব্বিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান জানান, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিন শেখ (২৮) কাজের সন্ধানে লিবিয়ায় গমনের দুই বছর পর মানবপাচার চক্রের কবলে পড়েন। ওই চক্রের ৪-৫ জন সদস্য আল আমিনকে লিবিয়ায় একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে এক ব্যক্তি তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর ওই ব্যক্তি আল আমিনকে মারধর করার অডিও, ভিডিও ও ছবি বাড়ির সদস্যদের কাছে প্রেরণ করে। আল আমিনকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজন ওই ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ নাম্বারে তিনবারে মোট ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তিতে আবারও টাকা দাবি করে ওই চক্রটি।
ঘটনা উল্লেখ করে গত ৬ মে আল আমিনের ছোট ভাই আরিফুরজ্জামান বাদি হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর গোয়েন্দা পুলিশ মানব পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা গ্রাম থেকে থেকে ৮টি মোবাইল ফোন ও ৪শ’ অবৈধ মোবাইল সিমসহ তরিকুল ও কুবাদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এফএইচ