সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মী সভা চলাকালে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরের জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়াস্থ আইডিয়েল হাই একাডেমির ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও একই এলাকার খন্দকার বিপুলের ছেলে খন্দকার নূর, একই এলাকার বাসিন্দা শাকিল মিয়ার ছেলে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কাজীপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাদাফ। তাদের সবাইকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মী সভার শেষ পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন সড়কের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেখানে থাকা চায়ের দোকানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারীরা।
এসময় লাঠি, ছুরি-চাকু ও ব্যাল্ট হাতে একদল কিশোর-যুবক মহসীন মোল্লার কয়েকজন সমর্থককে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে মঠের গোড়া ও পৌরসভার দিক থেকে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে দু’দিক থেকে পুলিশ এসে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। ধাওয়া খেয়ে উভয়পক্ষের লোকজনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) মো. মহসীন মোল্লা বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। অথচ দক্ষিণ পৈরতলার ছেলেরা আমার অনুসারী ছেলেদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে রুহুল আমীন আফ্রিদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলায়। সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কয়েকজন ছোট ভাই ঘটনাস্থলে ছিল। মূলত উত্তর পৈরতলার একদল ছেলের সঙ্গে কাজীপাড়ার ছেলেদের ঝামেলা হয়েছে। আমার সমর্থকরা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
ডিপি/