সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রচণ্ড তাপদাহ বিরাজ করছে। সেইসঙ্গে টিউবওয়েলে পানি শূণ্যতা দেখা দিয়েছে।
গত ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপজেলার ১৪৫ গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি শূণ্যতা দেখা দিয়েছে। উপজেলার কেশবনগর, আমতৈল, মানিকদিয়া, মিনাপাড়া, কাষ্টদহ, চেংগাড়া, রাইপুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর, ইকুড়ি, চাঁদপুর, হাড়িয়াদহ, , বাথানপাড়া, ধানখোলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা, আড়পাড়া, কসবা, চাঁন্দামারি, শানঘাট, গাংনী পৌর এলাকার পশ্চিম মালসাদহ, চৌগাছা, কাথুলী ইউনিয়নের ধলা, গাঁড়াবাড়িয়া, সহগলপুর, কাজীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, সাহেবনগর, বেতবাড়ীয়া, বামন্দী ইউনিয়নের তেরাইল, রামনগর, বালিয়াঘাটসহ উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বেশির ভাগ গ্রামের টিউবওয়েলে পানির অনেক শূণ্য দেখা দিয়েছে।
এসব গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েল চাপ দিলে, ঠিক মতো পানি উঠছে না। উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হাড়িয়াদহ গ্রামের কাউছার আলী জানান, গত ২ সপ্তাহ ধরে আমার বাড়িতে স্থাপনকৃত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। টিউবওয়েলের নতুন সিটভল ও ওয়াসার লাগানোর পরও পানি উঠছে না।
একই গ্রামের বৃদ্ধ নুর বানু জানান, আমাদের টিউবওয়েল পানি উঠছে। কিন্তু ২০ ফুট দূরে আমার বড় ছেলের টিউবওয়েলে পানি উঠছে না।
আমতৈল গ্রামের শামসুজ্জামান জানান, আমার গ্রামের ৪০ ভাগ টিউবওয়েলে কম পানি উঠছে। রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু জানান, যতো দিন যাচ্ছে ততো পানির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিশেষ করে প্রতিটি বাড়িই টিউবওয়েল রয়েছে। ইদানিং বেশিসংখ্যক টিউবওয়েল পানি কম উঠছে। আশা করি এর উত্তোরণে সরকার গুরুত্ব দেবে।
গাংনী উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাওয়ার উপযোগী পানির স্তর প্রতিবছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে। ১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ বিশুদ্ধ পানির স্তর পাওয়া যেত।
কিন্তু এখন পানির জন্য যেতে হয় ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহকারি প্রকৌশলী আ স ম মাহফুজুর রহমান কল্লোল জানান, ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু আগের মতো বৃষ্টি হয় না। ফলে ভূগর্ভের পানিই বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
জেবি