সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লক্ষ্মীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে রাস্তায় অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছে বেঙ্গল স্যু ইন্ড্রাস্ট্রিজের শ্রমিকরা। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কের রায়পুর রাখালিয়া বাজার কারখানাটির সামনে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করে তারা।
এদিকে রাস্তা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন। খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এর আগে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে কারখানার ম্যানেজার সাইফুল কবির, সিনিয়র প্রডাকশন ম্যানেজার নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এমরান খান ও পুলিশ সুপার সার্কেল শেখ সাদি।
বৈঠকে শ্রমিকদের রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের ব্যাংক হিসেবে এক মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে বোনাসের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে লিখিত কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের এ আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেন।
শ্রমিকরা জানান, এক একজন শ্রমিক ৯ মাস, ৬ মাস, ৩ মাস ও ২ মাস-সহ ওভারটাইম বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে হঠাৎ নোটিশ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে শনিবার সকাল ৮ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। যার প্রেক্ষিতে সকালে রায়পুর বেঙ্গল সু কারখানায় তালা ঝুলতে দেখে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে শ্রমিকরা।
পরে ইউ এনও, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ-র উপস্থিতিতে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সর্বশেষ দুপুর পোনে ১২টায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেন। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার রায়পুর সার্কেল, রায়পুর থানার ওসি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মালিক পক্ষ-শ্রমিক পক্ষের লিখিত যৌথ চুক্তি পড়ে শোনান। ইউএনও মালিক পক্ষের সঙ্গে ফোনালাপের ও মালিক - শ্রমিক পক্ষের চুক্তির রেফারেন্স দিয়ে জানান, রোববার ৩১ মার্চ শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন সঙ্গে ঈদ বোনাসের ২৫% এবং ঈদের পরে মার্চ মাসের বেতনের সাথে অবশিষ্ট ৪০% দেয়ার কথা জানান । উপস্থিত একাংশ এ ঘোষণা না মেনে রাস্তায় বসে পড়ার চেষ্টা করেন এবং পুলিশের প্রতি ইটের কনা নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে নারি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে রাস্তা থেকে নামিয়ে দেয়। এরপরই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে।
এফএইচ