সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুর ও নওগাঁর পরশা সীমান্তের ওপারে টহলরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পরে তাদের মরদেহ নিয়ে গেছে তারা।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লিটন (১৯) ও আলামিন (২৮)। লিটন আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে ও আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কোচবিহার জেলার সিতাই থানার কৈমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক লিটন নিহত হয়। পরে নিহতের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে কোনো প্রকার পতাকা বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।
সোমবার রাত থেকেই সীমান্তে বিজিবিসহ অপেক্ষা করছে স্থানীয় প্রতিনিধি। কিন্তু বিএসএফ এখনো নিহতের মরদেহ ফেরত দেয়নি।
এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর নিহতের মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিন করেছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেবেন বলেও জানান মাহফুজুর রহমান।
এফএইচ