সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ময়মনসিংহের ত্রিশালে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের মামলায় মা ও দুই ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের মৃত ফজলুল হকের স্ত্রী বেদেনা আক্তার (৫৯), তার দুই ছেলে হারুন মিয়া (৪৪) ও মো. নাঈম (২৫)।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা শাখার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও ত্রিশাল থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ত্রিশাল ও ভালুকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ত্রিশাল থানা পুলিশ আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বেদেনা আক্তারকে (৫৯) ধরতে উপজেলার ধানীখোলার শিমুলিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সঙ্গে থাকা নারী পুলিশ সদস্য দিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করার পর আসামির দুই ছেলে হারুন মিয়া ও নাঈম মিয়া দা নিয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে এএসআই ইসমাঈল হোসেন ও এএসআই গোলাম রসুলকে আহত করে আসামিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ খবর পেয়ে আরও একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় এএসআই রকিবের নেতৃত্বে একটি টিম সিএনজি যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছার জন্যে রাস্তায় আসামিদের কাছেই ঠিকানা জানতে চাইলে আসামিরা সিএনজিতেই এএসআই রকিবের পেটে ছুরিকাঘাত করে আবারও পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বেদেনা আক্তার, তার দুই ছেলে হারুন মিয়া ও মো. নাঈমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও ত্রিশাল থানা পুলিশ সোমবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ত্রিশাল ও ভালুকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে রিমান্ড শুনানি হয়নি। আহত পুলিশ সদস্যরা চিকিৎধীন আছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জেবি