সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নিখোঁজের ৩ দিন পর কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পদ্মার চর থেকে মিলন হোসেন (২৭) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে পদ্মার চরের ৪ স্থানে ব্যাগের মধ্যে পুঁতে রাখা মিলনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটকও করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মিলন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরচর গ্রামের মওলা বক্সের ছেলে। তিনি শহরের হাউজিং এলাকায় স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তিনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ৩১ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক মিলনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বাড়িতে না ফিরলে মিলনের স্ত্রী মিমু খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তাকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।
শুক্রবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি সজীব নামে একজনকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতভর পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে পদ্মার চরের ৪ স্থানে পুঁতে রাখা মিলনের ৯ খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সজীবসহ মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, চাঁদা না পেয়েই হত্যা করা হয়েছে মিলনকে। এ বিষয়ে পলাশ কান্তি নাথ আরও বলেন, মূলত নিহত মিলন অনলাইনে ফ্রিল্যান্সারের ভালো আয় করতেন। হত্যাকারীরা তার কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাকে ডেকে এনে মারধরের পর হত্যা করে। মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
জেবি