সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা জেলার দুটি সংসদীয় আসনে ১৫ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির দুজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির দুজন, জাকের পার্টির একজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের একজন, স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজনসহ মোট ৯ জন জামানত হারাচ্ছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) ৮ ভাগের ১ ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ বা কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এরকম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনি এলাকা চুয়াডাঙ্গা ১ (তিতুদাহ বেগমপুর বেহালপুর ও গড়াই টুপি ইউনিয়ন) ব্যতীত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ারদার সেলুন ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়াল পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আলী আজগর টগর ১ লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাসেম রেজা পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৯৫ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের প্রার্থী ছিলেন ৬ জন এর মধ্যে তিনজনেই জমানত হারাচ্ছেন। এই আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। ১৮১টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৭টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৯ হাজার ৪৭৭ টি ভোট। এ আসনে তিনজন প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাননি তারা হলেন, এম শহিদুর রহমান (ট্রাক) পেয়েছেন ৯৫৮ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (আম) প্রতীক প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরী পেয়েছেন ৫৪০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৫৭১ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন। এর মধ্যে ৬ জন জমানত হারাচ্ছেন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯ জন। ১৭৩টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৩টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ ২৬ হাজার ৬৮৫ টি ভোট। জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মশাল) প্রার্থী দেওয়ান ইয়াসিন উল্লাহ। তিনি পেয়েছেন ২১১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিক ( ফ্রিজ) পেয়েছেন ৮২৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) পেয়েছেন ৪৩০ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রবিউল ইসলাম (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭৭৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর হাকিম (ঈগল) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ ভোট এবং জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল লতিফ খান (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ ভোট।
জেবি