দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যশোরের মনিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজারে অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুদি ব্যবসায়ী আশুতোষ পালকে তার দোকানে ঢুকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ২৪ ডিসেম্বর সকালের হলেও বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও রাজগঞ্জ বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত আবদুল লতিফ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে মুদি ও ধান চালের দোকান রয়েছে আশুতোষ পালের। রাজগঞ্জ বাজারে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের জায়গায় ধানের বস্তা রাখার অপরাধে আব্দুল লতিফ ব্যবসায়ী আশুতোষ পালকে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ।
মারপিটের ঘটনা আশুতোষ পালের দোকানে থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে আশুতোষ পালের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে গালমন্দ করছেন অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ। চিৎকার শুনে দোকান থেকে বেরিয়ে আশুতোষ এগিয়ে গেলে অধ্যক্ষ লতিফ তাকে চড়-থাপ্পর মারা শুরু করেন। মারতে মারতে তিনি আশুতোষকে দোকানের মধ্যে ঢুকেও কিলঘুষি মারতে থাকেন। ঘটনার ছয় দিন পার হলেও অধ্যক্ষর ভয়ে কোথাও অভিযোগ করতে পারেননি আশুতোষ পাল।
এ বিষয়ে আশুতোষ পাল বলেন, আমার দোকানের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। গত শনিবার দোকানে থাকা আধা বস্তা ধান আমি ভাস্কর্যের পাকার ওপর রেখে ভুল করে বাড়ি চলে যাই। আমি বলেছি ভুল হয়েছে। তারপরও রোববার সকালে দোকানে আসার পর আমাকে মারপিট শুরু করেন আব্দুল লতিফ।
আক্ষেপ করে আশুতোষ পাল বলেন, আমি নৌকার ভোটার। তারপরও স্বপন বাবুর লোক আবদুল লতিফ আমাকে দোকানে ফেলে মারপিট করলো। স্বপন বাবুকে জিজ্ঞস করেন নৌকার ভোটারকে কেন তার লোক পেটালো। আবদুল লতিফকে কী পাওয়ার দিয়েছেন স্বপন বাবু। আমাকে এভাবে মারপিট করল। আমি কোথাও অভিযোগ করিনি। সাত তারিখের ( ভোটের পর) পর অভিযোগ করব।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের জায়গায় ধান, কুড়ো রেখে নোংরা করে আশুতোষ পাল। তাকে একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও কথা শোনে না। ১৬ ডিসেম্বর পুলিশ এসে বস্তা সরিয়ে ভাস্কর্যের জায়গা পরিষ্কার করেছে। এরপরও একই কাজ করায় আশুতোষকে দুই তিনটা চড় মেরেছি। ঘটনা তেমন কিছু না।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখেননি। ঘটনা লোকমুখে শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি