সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সাংগঠনিক রীতি-বহির্ভূতভাবে দল পরিচালনা করার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক বৈষম্যের কারণে এবং কাউখালী হাটের খাজনা সংসদ সদস্য কর্তৃক মওকুফের ঘোষণা দিয়েও পরিশোধ না করায় প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) থেকে পদত্যাগ করেছেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু। আবু সাঈদ মিয়া মনু জেপি-মঞ্জু কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে কাউখালী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে তিনি জেপি থেকে পদত্যাগ করেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে মনু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর (এমপি) নেতৃত্বে জেপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে মঞ্জু দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকলেও, তার নির্বাচনী এলাকা কাউখালীর তেমন কোনো উন্নয়ন করেননি। বরং তিনি তার নিজ উপজেলা ভান্ডারিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এর ফলে কাউখালীর সাধারণ মানুষ সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া তিনি কাউখালী উপজেলার বাজারের খাজনা পরিশোধের অঙ্গীকার করলেও বর্তমানে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মারাত্মক বিপাকে পড়েছে। তাই তিনি তার সমর্থক ও জেপির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে সংগঠনটির উপজেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে জাতীয় পার্টির (জেপি) কাউখালী উপজেলা শাখার সহসভাপতি সিকদার মো. দেলোয়ার হোসেন, সহসভাপতি শাহ আলম নসু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র দে, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খসরু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করেন । তবে মো. আবু সাঈদ মিয়া মনু সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার সঙ্গে কাউখালী উপজেলা থেকে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী জেপি থেকে পদত্যাগ করেছে।
প্রসঙ্গত, আবু সাইদ মনু এর আগে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে (জেপি) যোগদান করে সাইকেল মার্কা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং দলের উপজেলার সভাপতির পদ লাভ করেন।
এইউ