সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চুয়াডাঙ্গায় আগাম শিম চাষে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। লতা-পাতা, ফুল আসলেও আসেনি শিম। এতে কোনোভাবেই তাদের খরচের টাকা উঠবে না। কোনো উপায় না পেয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে কৃষকদের অভিযোগ এমতাবস্থায় তারা কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজারের পাশে পায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গার বিস্তীর্ণ মাঠে যেদিকে দু’চোখ যায় সেদিকে শিম গাছ আর শিম গাছ। কিন্তু কোনো গাছেই নেই শিম। কাউরের জমিতে শিম গাছে ফল ধরেছে, সেগুলো ঝরে যাচ্ছে, কোথাও কোথাও শিম গাছ হলুদ আকার ধারণ করেছে, আবার কিছিু শিম গাছে শুধু গাছ আর কিছু ডাল খাড়া হয়ে আছে। শিম চাষ করে এমনই অবস্থার শিকার হয়েছে জেলা সদরের কেষ্টুপুর বোয়ালমারী পাড়ার ইসোপের স্ত্রী জাহানারা খাতুন। তিনি জানান তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে আগাম শিম চাষ করেছেন। এর আগে তিনি লাভবান হলেও এবার গাছ থেকে ফুল পড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
জাহানারার মতো অনেকেই লিজ নিয়ে শিম চাষ করেছে। সার-কীটনাশকের টাকাই উঠবে না, লিজের টাকা ওঠা তো পরের কথা। আর এই দুঃসময় কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজার খোঁজ নিতে আসেননি।
কৃষকরা জানান, শুধু ফুলই ঝরে যাচ্ছে না, পাতায় কালো দাগ দেখা দিচ্ছে। একইসঙ্গে পোকার আক্রমণও এবার বেশি। তারা আরও জানান, ১০-১৫ বছর ধরে আগাম শিম চাষ করে আসছেন। ইতোপূর্বে লাভবান হলেও এবার লোকসানে মুখে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ জানান, আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে অথবা হরমোন ওষুধ প্রয়োগের কারণে এমনটি হতে পারে। তবে তারা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছেন, কী কারণে এমন হচ্ছে তা দেখার জন্য। এছাড়া ব্লক সুপারভাইজার খোঁজ না নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, অফিসিয়ালি অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবার চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে বলে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এইউ