সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে মনিরুল ইসলাম নামে (২৫) এক যুবককে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচকাটা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নেওয়া হয়। শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ মুনিরুল ইসলাম পাঁচকাটা গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি ফেনী জেলায় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। পরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকার একটি মাদরাসা থেকে মুফতি পাশ করেন। পরে টঙ্গী এলাকায় একটি মাদরাসায় বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। এরপর ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বছর খানেক চাকরি করেন। চাকরি ছেড়ে এক বছর আগে গ্রামে চলে যান। সেখানে ওয়াজ মাহফিল করতেন। পাশাপাশি রাসায়নিক সার নিয়ে গবেষণা করতেন।
মনিরুলের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘মুনিরুলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই চারজন তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়েছে। তাদের হাতে পিস্তল ও হাতকড়া ছিল। বুধবার বিকেল থেকে তারা আমাদের বাড়ির আশপাশে ও বাজারে ঘুরেছেন। সবাই তাদের দেখেছে, আমিও দেখেছি। তারা যে আমার ছেলেকে ধরতে এসেছে তখন তা বুঝতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে চারজন লোক এসে ঘরের দরজায় নক করে। দরজা খুললে তারা গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দেয়। ঘরে ঢুকে মুনিরুলকে ধরে বাইরে থাকা একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসের কাছে নিয়ে যায়। তারা জানায়, মুনিরুলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তার কাছ থেকে কিছু তথ্য জানা হবে। তথ্য জেনেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু গাড়ির কাছে নিয়েই তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। তবে মুনিরুলকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটা তারা জানায়নি।
এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সমর আলী বলেন, ‘সকালে ঘটনা শুনে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়। পরে মুনিরুলের বাবা জাকির হোসেনকে নিয়ে থানায় গেলাম। পুলিশ এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলল। ওই পরিবারের সবাই আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।’
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম (পিপিএম) বলেন, ‘মুনিরুলকে কে বা কারা ডিবি পরিচয়ে নিয়ে গেছে এটা জেনেছি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সহিত খোঁজখবর নিচ্ছি। পরিবারের লোকজনও খুঁজে দেখুক।’
জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আশা করি আগামী দুই একদিনের মধ্যে মূল ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে। তারপর বিস্তারিত জানানো হবে।
জেবি