সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জমি বিক্রির টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে দলিল সম্পাদনের চেষ্টা ও দাতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাটুরিয়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবজালের ছেলে মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত রোববার ( ১অক্টোবর) মামুনসহ জড়িত পাঁচজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাটুরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
বাবুল মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গোলড়া চরখণ্ড গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদী আলমগীরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। স্থানীদের মধ্যস্থতায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ছেলে মামুন মিয়াকে দলিল সম্পাদনের দায়িত্ব দেয় বিবাদী আলমগীর। দলিল লেখক সমিতির সভাপতির ছেলে দাতা বাবুল মিয়াকে টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে দলিলে স্বাক্ষর দিতে চাপ সৃষ্টি করে। দাতা টাকা না পেয়ে দলিল স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে বিবাদীরা দাতা বাবুলসহ তার স্ত্রীকে মারধর করে। পরে দাতা বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গত ১ অক্টোবর দাতা বাবুল বাদী ৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী বাবুল মিয়া জানান, সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবজালের ছেলে আমাকে টাকা না দিয়েই দলিলে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি অস্বীকার করলে সভাপতির ছেলে মামুন এবং তার সহযোগীরা আমি এবং আমার স্ত্রী, ভাই, চাচাকে মারধর করে। আমি ৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমি ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছি।
সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবজালের ছেলে ও সহকারী দলিল লেখক মামুন মিয়া বলেন, বাবুলকে মারধর করা হয় নাই। শুধু ওনার কাছে তার ছবি চেয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম ছবি লাগানো হলেই তো দলিল শেষ হলো না। এর বেশি কোনো কথা হয় নাই।
সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন বলেন, দলিল লেখকের ধর্ম হলো দাতা গ্রহীতা দুপক্ষকেই নিরাপত্তা দেওয়া। দেনা পাওনা বুঝিয়ে দলিল সম্পাদন করা। দাতা গ্রহীতার পক্ষ নিয়ে কাউকে মারধর দলিল লেখকের দায়িত্ব না। ওই দিনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবজাল হোসেন বলেন, দলিল লেখকের কাছে দাতা সবসময় নিরাপদ। দলিল লেখকের দায়িত্ব দাতাকে পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে দলিল সম্পাদন করা। আমার ছেলে মামুন দাতাকে মারধর করেনি। দাতাগ্রহীতা দুপক্ষ মারামারি করেছে।
এ বিষযে সাটুরিয়া সাবরেজিস্ট্রার অভিজিৎ কর সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি