দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
যশোরে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনের নোংরা পানি ঢুকে পড়েছে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। ড্রেনগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে খুবই ধীরগতিতে। এতে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শহরের পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে নাগরিকদের অভিযোগ।
যশোর বিমানবাহিনী নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। পরেই দিন অর্থাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মাঝারি ও এদিন রাতে ভারি বর্ষণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গত দুই দিনে ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে বুধবার ৩৫ মিলিমিটার ও বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অন্তত ১৫টি সড়কে পানি জমে আছে। খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়ক, শহরের পিটিআই, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড় থেকে রেললাইন, বেজপাড়া চিরুনিকল, মিশনপাড়া, আবরপুর ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, ষষ্ঠীতলাপাড়ার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন এসব সড়কে ছিল হাঁটুপানি। এসব সড়কের দুই পাশের নালার ময়লা-আবর্জনায় ভরা নোংরা পানি উপচে পড়ে সড়কে। সড়ক ছাপিয়ে সেই পানির ঢল ঢুকে পড়ে বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও।
ভারি বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে আছে পৌর এলাকার ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড। বসত ঘরে পানি ঢুকেছে। ঘরে ও বাইরের জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে আছেন ওই ওয়ার্ডের মানুষেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শহরের সমস্ত পানি নিষ্কাশনের পথ যে ড্রেন তা গত চার বছর পরিষ্কার করে না পৌরসভা। সে কারণেই এ ভোগান্তি।
শহরের শংকরপুর এলাকার আবদুল মাজেদ বলেন, যশোর শহরের পানি নিষ্কাশন হয় শহরের দক্ষিণ পাশের বিল হরিণায়। সেখান থেকে মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়। কিন্তু গত চার বছর ধরে বিল হরিণায় পানি নিষ্কাশনের যে ড্রেন তা পরিষ্কার করে না পৌরসভা।
পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন বলেন, এলাকাবাসীসহ তিনি নিজে পৌর মেয়রের কাছে এ বিষয়ে জানিয়েছেন কিন্তু ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশের মুঠোফোনে কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। তবে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ চলছে। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান বলেন, শহরবাসীর অসচেতনতার কারণেও নালার পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ও নালা সংস্কার ও নির্মাণের জন্য এমজিএসপি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
জেবি