সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমরা আলুর সিন্ডিকেটকে বশ করার অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। তাদের বেশি চাপ দিলে বাজার থেকে সমস্ত আলু তুলে নিয়ে যায়।’
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতসমূহ সম্প্রসারণ এবং শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তকরণ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যে আলু হয়, তা হেক্টর প্রতি ২০-৩০ টন উৎপাদন হয়। এই মুহূর্তে বিএডিসির কাছে যে জাত রয়েছে, তা থেকে হেক্টর প্রতি ৫০ টন উৎপাদন করা সম্ভব। কী কারণে আমাদের ঘাটতি হবে? এগুলো পলিসি ও সিন্ডিকেট।’
পেঁয়াজ আমদানি প্রসঙ্গে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণে ওয়্যারহাউস করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৫০-৬০টি ঘর আছে। সেগুলোতে ৩-৪ মাসে সামান্য কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে এই বছরে বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে সংরক্ষণাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হেক্টরে ৫০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, বর্তমান সেই জাত উদ্ভাবন হয়েছে। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রয়েছে। এই তিনটি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভারত বা বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। কাজেই আমাদের বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
চালের দাম নিম্নমুখী উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জুলাই মাস থেকে আমরা চাল আমদানি করিনি। বর্তমান চালের দাম নিম্নমুখী। মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে। সাত কোটি থেকে ১৭ কোটি মানুষের দেশে কার্তিক মাসে খাদ্যের দাম কমেছে। এর চেয়ে আর অর্জন কী হতে পারে? এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিকে দরদ দিয়ে নীতিমালা প্রয়োগ এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য।’
রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। সারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেস্টা চলছে। এটা দেশ ও অর্থনীতির জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সুষ্ঠু–সুন্দর ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনারকে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সব মন্ত্রী-এমপি, প্রশাসনিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনায় চলতে হবে।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুদকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক প্রমুখ।
জেবি