সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানের বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীর দুই পাড়ের মানুষ। এদিকে আজ সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
জানা গেছে, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ঢলের ওই পানি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদে পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রামের ঘড়িয়াল ডাঙ্গা, বুড়িরহাটসহ নানা এলাকাসমূহ প্লাবিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিতের ফলে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ বুড়িরহাট, নামা ভরট, গতিয়াসাম, চর খিতাবখাঁ এবং উলিপুর উপজেলার তিস্তার অববাহিকার চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়ি ও আমন ধান, আলুসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে এবং নদীর তীরবর্তী এলাকাসমূহ ক্রমাগত প্লাবিত হয়ে মানুষের দুভোর্গ বেড়েই চলছে। এদিকে আজ সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড মানুষকে সচেতন করছেন। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
তিস্তা এলাকার শহিদুল ইসলাম, রিপন মেম্বারসহ অনেকে বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। চরাঞ্চলের অনেক বাড়িঘর ও বিভিন্ন ফসলি জমিতে ডুবে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
জেবি