সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
এক চোরাকারবারির সঙ্গে মারামারি হয় সেবুলের। ওই ব্যক্তিকে ফাঁসাতে নিজের ভাই সালমান আহমদের হাত-পা বাঁধা ছবি ফেসবুকে দেন তারই বড় ভাই সেবুল আহমদ (২৮)। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। পরে জানতে পারে বিষয়টি পরিকল্পিত। ঘটনাটি সিলেটের জৈন্তাপুরের।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষটি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঘটনার আগের রাতে এক চোরাকারবারির সঙ্গে মারামারি হয়। ওই ব্যক্তিকে ফাঁসাতে নিজের ভাই উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ির বাসিন্দা সালমান আহমদের হাত-পা বাঁধা ছবি ফেসবুকে দেন তারই বড় ভাই সেবুল আহমদ (২৮)।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার সময় সালমান অচেতন ছিলেন। তার ভাই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অভিযুক্ত সেবুল এখন পলাতক আছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়িতে বিজিবি সদস্যদের একটি দল টহলে যায়। এ সময় এলাকার কয়েকজন যুবক অভিযোগ তোলেন- গোয়াবাড়ি এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৫ নম্বর ঘরের বাসিন্দা সালমান আহমদ (২৩) এলাকায় চোরাচালানের খবর বিজিবিকে জানায়। ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিষয়টি নিয়ে জুবেল মিয়া, লিলু মিয়া ও অলি মিয়াদের সঙ্গে সেবুল ও সালমানের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সালমান ও তার বড় ভাই সেবুল আহমদ প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হন।
এ ঘটনার পর সেবুল স্থানীয় পাঁচ যুবকের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেন। এরপর সালমানকে হাত-পা বাঁধা ও মেঝেতে ফেলে রাখা একটি ছবি ফেসবুকে ছেড়ে উল্লেখ করা হয়- চোরাকারবারি সিন্ডিকেট টর্চার সেলে নিয়ে সালমানকে মারধর করা হচ্ছে।
একপর্যায়ে বিষয়টি স্বীকারও করেন সালমান। তবে তিনি বলেন- ঘটনার সময় তিনি অচেতন ছিলেন। কে বা কারা ছবি ধারণ করেছে, সেটি তিনি জানেন না।
ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ওই ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর ঘটনায় প্রথমে সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথায় অসংলগ্নতা পাওয়া যায়। একপর্যায়ে ছবির ঘরের মেঝের সঙ্গে সালমানের ঘরের মেঝে মিলে যায়। ঘর তল্লাশি করে হাত-পা বাঁধার দড়িও পায় পুলিশ। পরে তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয় টর্চার সেলে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ছাড়ানো ছবিটি সালমানের ঘরেই ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি সাজানো।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- ঘটনাটি সালমানের ভাই সেবুল ঘটিয়েছেন। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।