সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ত্রাস সৃষ্টি করা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও অর্থ সমন্বয়ককে আটকের পর র্যাব বলছে, আরসা বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
আটক মো. এরশাদ প্রকাশ নোমান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব জানায়, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো আরসাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে বড় ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন নোমান চৌধুরী। নোমানই আরসা সদস্যদের জন্য ইউনিফর্মের কাপড়, ল্যান্ডমাইন, ওয়াকিটকি, ওষুধসামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন।
র্যাবের অভিযানে আতাউল্লাহর এমন পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে গেছে দাবি করে এই লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজিদ হোসেন জানান, আরসার অপতৎপরতা দমনে র্যাব সময় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বোমা তৈরির কারিগর, গানম্যান, অর্থ সম্পাদকসহ আরসার ৬০ জন বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা ও সদস্য আটক করেছে র্যাব।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়ে র্যাব-১৫ এই কর্মকর্তা দাবি করেন, আটক নোমান চৌধুরী রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর একান্ত সহকারী এবং আরসার অর্থ সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়ক।
নোমানের মাধ্যমে আরসার কাছে নিয়মিত বিদেশি অর্থ সহায়তা আসতো হুন্ডির মাধ্যমে। তিনি বিভিন্ন দেশে যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে টাকাগুলো সংগ্রহ করতো। এরপর এসব টাকা আশ্রয় শিবিরের অবস্থান করা বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে সরবরাহ করতো।
এছাড়াও আটক নোমান চৌধুরী ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তুমব্রু সীমান্তে অভিযান চালানোর সময় আরসার হাতে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা হহত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গেও সরাসরি জড়িত ছিলেন।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে র্যাবকে। রোববার রাতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১৫।
জেবি