সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেব হারুন। তার উপার্জনেই চলে পাঁচ সদস্যের সংসার। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি রেখে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান।
নামাজ শেষে বের হয়ে এসে দেখেন অটোরিকশার নতুন ব্যাটারিটি আর নেই। যার দাম ছিলো ২২ হাজার টাকা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পায়নি অটোর নতুন ব্যাটারিটি। তারপরই কেঁদে ফেলেন হারুন (৩৮)।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সরকারি হাসপাতাল জামে মসজিদের সামনে এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
অটোরিকশা চালক হারুন (৩৮) পার্শ্ববর্তী জেলার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের আলোনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তার একমাত্র জীবিকা নির্বাহর মাধ্যমই ছিলো অটোরিকশাটি। কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে নতুন ব্যাটারিগুলো কিনেন। অটোরিকশা কেনার কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাটারিগুলো নষ্ট হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়েন হারুন। পরে কিস্তিতে এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে অটোরিকশার ব্যাটারি কিনে তা সচল করেন।
অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, আমি সারাদিন অটো রিকশা চালালেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি। অটোরিকশা চালাতে চালাতে যখন নামাজের সময় হয় তখনই আশেপাশে মসজিদে নামাজ আদায় করি। শনিবারও মসজিদের সামনে অটোরিকশা রেখে মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে এসে দেখি অটোরিকশার নতুন ব্যাটারিটি নেই। এ রিকশা ছিল আমার একমাত্র আয়ের উৎস। ব্যাটারিটি নতুন কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে কিনেছি।
ওই সময় মসজিদের নামাজ আদায় করছিলেন আজাদ। তিনি বলেন, একজন অটোরিকশা চালক নামাজে এসে যে তার অটোরিকশার ব্যাটারি হারাতে হবে এটা মানা খুবই কষ্টের। বিত্তবানদের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।
জেবি