সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক আইন ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী বর্ষীয়ান নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার দ্বিতীয় ও তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর তার নিজ আসন সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সাংসদ বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাদ মাগরিব অরুয়াইল আব্দুস ছাত্তার ডিগ্রী কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহটি তার নিজ গ্রাম পরমানন্দপুর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ এশা চতুর্থ নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক করবস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
উল্লেখ, শনিবার ভোর ৩টা ২ মিনিটে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন।