সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পঞ্চগড়ের বোদা তিন নম্বর বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দিলেন মোতাহার হোসেন নামের এক বিবাহিতকে। তার বিয়ের বিষয়টি সম্মেলনের পর হতে চাউর হতে থাকে। ইউনিয়ন থেকে উপজেলার সবার হাতেহাতে কাবিননামার কাগজ ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ নিয়ে জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়নে আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে এমন একটি ঘটনা গত ২৩ সেপ্টেম্বর হলেও উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো বিবাহিত অছাত্রকে সদস্য পদ দেয়ার বা ছাত্রলীগ করার কোনো নিয়ম নেই। অথচ যাকে গুরুত্বপূর্ণ এই পদ দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে চলতি বছরে আলোচিত কাদিয়ানীদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করার অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
তবে একাধিক ছাত্রলীগের কর্মী ও স্থানীয়রা জানান, তার বিরুদ্ধে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব করা,বালুমহল দখলসহ নানা রকম অভিযোগ রয়েছে। শুধু একাই তার বিরুদ্ধে নয়। ফুলতলা এলাকায় আতঙ্কের এক নাম মোতাহারের পরিবার।
সম্প্রতি এত বড় একটি বিষয় কোনো হস্তক্ষেপ না নিয়ে এখন তাকে (মোতাহার) সভাপতি দায়িত্ব রাখার জন্য মোটা অংকের রফার অভিযোগ উঠে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মী আরিফুজ্জামান আরিফ জানান, ছাত্রলীগের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। বিবাহিত ও বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরেও এমন একটি ছেলেকে নির্বাচিত করা কিসের বিনিময় হতে পারে। আমরা প্রকৃত ছাত্রলীগের হাতে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেখতে চাই। এছাড়া গণতান্ত্রিক কোনো প্রক্রিয়া (উপস্থিত কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে) না করে উপজেলা গিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা আমিনার রহমান জানান, ইতোপূর্বে ছাত্রলীগ করেছি কিন্তু এমন ঘটনা দেখিনি। এর আগে প্রকৃত ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করেছে।
নাম না প্রকাশে ছাত্রলীগের অনেকে কর্মী জানান,জনৈক ব্যক্তিদের খুশি করাতে এরকম পকেট কমিটি দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক ইউনিয়নে। ছাত্রলীগের কমিটি ছাত্রলীগ উপজেলা কমিটি করবে কিন্তু এখানে বড় ভাই নিয়ন্ত্রণ করছে।
সদ্য ঘোষণা পাওয়া সভাপতি মোতাহার হোসেন জানান, বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। কাবিন নামার কাগজটি তৈরি করা। যদি এমন হতো তাহলে সন্মেলনের আগে কেন এটি প্রকাশ করলো না।
মামলার বিষয়টি নিয়ে তিনি জানান, বেংহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আবু ও বর্তমান বেংহারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন শাহরুখ এটি করেছে। মামলাগুলো হয়েছে ব্যবসায়িক ঝামেলার কারণে। এটি স্থানীয় সমস্যা।
বেংহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আবু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগের কমিটির সময় আমি চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকায় অবস্থান করি। সে কারণে আমি নবগঠিত ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে অবগত নই। তবে মোতাহারের মামলার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
নব্য বেংহারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন শাহরুখ জানান, আমার নামে মোতাহারের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি তার মামলার বিষয়ে কিছু জানিনা। কি হয়েছে স্থানীয়রা সবাই বলবে।
বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনজাম পিয়াল জানান, তার বিষয়ে মন্ত্রী বিদেশ থেকে (রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন) আসার পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু আল নোমান জানান, এমন কোনো ঘটনা হয়ে থাকলে উপজেলা কমিটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি