সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত একটি দলিলের নকল তুলতে গিয়ে দীর্ঘ ৪ মাসেও নকল না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সদর উপজেলার নলবাইদ গ্রামের মো. শাহাদুল ইসলামের স্ত্রী শাপলা আক্তার।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের সিংপাড়াস্থ ভাড়া বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন শাপলা আক্তার।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০২১ সালের ১ এপ্রিল শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৪১১ নম্বর দলিলের নকল তুলতে গিয়ে দীর্ঘ ৪ মাস ঘুরেও তা পাননি তিনি। উল্টো গত ২৫ সেপ্টেম্বর শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নকল উত্তোলনের জন্য গেলে অফিস সহকারী তাকে জোর করে অফিস থেকে বের করে দেন এবং আবার এলে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন।
তিনি আরও বলেন, অফিস হতে বের হওয়ার সময় তার শ্বশুর হানিফ উদ্দিন মেম্বার, তার মেয়ের জামাই মো. উজ্জ্বল মিয়া ও মো. বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আবারো নকল উত্তোলনের জন্য এলে তাকে খুন করে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও তাকে জমির দখল নিতে বাধা দিচ্ছে তারা।
জানা যায়, ওই দলিল মূলে তিনি তার প্রবাসী স্বামী শাহাদুল ইসলামের কাছ থেকে পৌনে চার শতাংশ এবং তার শ্বশুর হানিফ উদ্দিন মেম্বার সোয়া শতাংশ দুজনে যৌথ ভাবে ৫ শতাংশ ভূমির মালিক হন। কিন্তু হানিফ উদ্দিন মেম্বার, শেরপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ কর্মচারীর যোগসাজসে দলিলটি গোপন করে হানিফ উদ্দিন মেম্বার তার নিজ নামে একটি ভূয়া একক দলিল সৃষ্টি করে অন্য ব্যক্তির কাছে সেই জমি বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রি বায়নাপত্র সম্পাদন করেছেন।
শাপলা আক্তার জানান, ইতিমধ্যেই তার স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তার প্রাপ্য বৈধ ভূমির মালিকানা থেকে তাকে বঞ্চিত করতেই দলিলটি আটকে রেখে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
এদিকে দলিলের নকল পেতে সহযোগিতা চেয়ে গত ২১ আগস্ট এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাপলা আক্তার। অভিযোগের অনুলিপি জমা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেরপুরের কার্যালয়ে।
এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্টার নূর নেওয়াজ জানান, প্রথমত দরখাস্তে মোছা. শাপলা আক্তারের স্বাক্ষর নেই। এছাড়াও দাখিলপ্রাপ্ত দলিল যাচাই অন্তে আপাত দৃষ্টিতে বুঝা যায় দুটি পাতা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হবে শাপলা আক্তারকে। কারণ শাপলা আক্তার সদর মহাফেজখানা বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাউকে দিয়ে এ অন্যায় কাজটি করিয়েছেন।
জেবি