সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
এখনও ডিম আসেনি ইলিশের পেটে। তাই সরকার নির্ধারিত ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পিছিয়ে দেয়ার দাবিতে পটুয়াখালীর মহিপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মহিপুর মৎস্য বন্দর অবতরণ কেন্দ্র একটি হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা আগামী ১২ অক্টোবরের বদলে ৩০ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা সময় নির্ধারণের দাবি জানান। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ রক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও এই অভিযান পেছানোর দাবি জানিয়েছেন মহিপুরের মৎস্য আড়তদার ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন মাসুম বেপারী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, আমরা জানি সাংবাদিকদের কলমের লেখা বন্দুকের গুলির চেয়েও শক্তিশালী। সমাজ ও দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভুমিকা অপরিসীম, তাদের লিখনিতে দেশ ও জাতির মঙ্গল বয়ে আনে। আজ আমরা যারা মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেছি। দেশ ও জাতির স্বার্থে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে, দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাণি ও মৎস্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রক্ষার্থে ও ইলিশ প্রজননের জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ (বাইশ) দিন অবরোধ ধার্য করেছে।
দিদার উদ্দিন বলেন, বর্তমানে সাগরে কোনো রকম বড় ইলিশ নেই বললে চলে। যেসব মাছ ধরা পরতেছে তাতে এখন পর্যন্ত কোনো ডিম আছে বা ডিম হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তাই আপনাদের মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবগত করানোর জন্য যাতে উক্ত তারিখের অবরোধ পরিবর্তন করে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ ধার্য করা হলে মা ইলিশের ডিম পরিপক্ক হবে এবং প্রজনন বাড়বে এবং পাশাপশি জেলেরাও হয়তো একটু লাভবান হতে পারবেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন সমাপ্তি করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু আহমেদ রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাসসহ শতাধিক বন্দর মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা।
বক্তারা আরও জানান, তাদের এই আবেদন সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে আজই পৌঁছে দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা মৎস্য আড়তদারসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
মৎস্য গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, ১২ অক্টোবরের দিকে মাছে ডিম আসবে মর্মে নিষেধাজ্ঞা দিলেও জেলেদের দাবি ভিন্ন। তাদের ভাষ্যমতে ৩০ অক্টোবরের পরে মা ইলিশে পরিপূর্ণ ডিম আসবে। এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, জেলেদের দাবিগুলো আমরা ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করব। তাদের দাবি যৌক্তিক হলে তারা বিবেচনা করবে।
এইউ