সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শরীয়তপুরে আদালতের পিয়ন আল-আমীনের সঙ্গে পুরি নিয়ে তর্ক করার জেরে আব্দুস সালাম নামের এক হোটেল মালিককে প্রায় ৮ ঘণ্টা গারদে কাটাতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পুলিশ হোটেল থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। বিকেল ৪টার পরে আব্দুস সালামকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আল-আমীন শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেদায়েত উল্লাহর পিয়ন বলে জানা গেছে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে হোটেল মালিক আব্দুস সালামকে পুলিশ দিয়ে ডেকে আনা হয়।
এরপর তাকে গারদে আটকে রাখা হয়।’ তবে তিনি এ ব্যাপারে সংবাদ না করতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘মামলা দেওয়া হয়নি, ওই ব্যবসায়ীর ভাগ্য ভালো। মামলা হলে সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে অনূর্ধ্ব ৭ দিন পর্যন্ত জেল দিতে পারতেন।
আবার চাইলে তিনি ক্ষমাও করতে পারতেন। আল-আমীন ম্যাজিস্ট্রেটের পিয়ন বলার পরও তারা দুর্ব্যবহার করেছেন। এ জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালামকে ডেকে আনতে বলেছেন।
আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পরে পুরি নিতে আসেন কোর্টের পিয়ন আল-আমীন। গরম কিনা জানতে চাইলে হোটেল কর্মচারী ১০ মিনিট আগে চুলা থেকে নামানো হয়েছে জানান।
পুরি প্যাকেট করে দেওয়ার পর তিনি টাকা দেন। যাওয়ার সময় দোকান থেকে একটি পুরি মুখে দিয়ে আল-আমীন ঠান্ডা জানান এবং এগুলো স্যারদের জন্য নেওয়া যাবে না বলেন। তখন পুরি রেখে তাকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও তিনি কর্মচারীর সঙ্গে রাগারাগি ও চেঁচামেচি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমি নিজে বিষয়টি চুকাতে বললে তিনি আমার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। পরে চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ এসে হোটেল থেকে আমাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যান। এরপর কোর্টের গারদে বন্দি করে রাখেন।
জানতে চাইলে আল-আমীন বলেন, পুরি প্যাকেট করার পর মনে হলো, স্যারদের জন্য নিচ্ছি একটু চেখে দেখি। দাঁত দিয়ে ছিঁড়তে পারছিলাম না। ঠান্ডা পুরি কেন দিয়েছেন, জানতে চাই এবং গরম পুরি ভেজে দিতে বলি।
কিন্তু ভেজে না দিয়ে হোটেলের কর্মচারী তর্ক করেন। মালিক এসে ঝাড়ি দেন, টাকা ফেরত দিয়েছি, চলে যান। বাড়াবাড়ি করছেন কেন? কোনো কিছু না শুনে তিনি আমার সঙ্গে তুই তোকারি করেন।
বলেন, তুই, জজকোর্টে চাকরি করছ, তোরে কি চিনি না? তোর স্যারদের কাছে গিয়ে আমার কথা বলিস। পরে আমি চলে এসে বিষয়টি স্যারদের জানিয়েছি।
জেবি