গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পিকআপ ভ্যান চাপায় জেলা পুলিশের ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর পিকআপ ভ্যান ও চালককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সদর থানায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন(৫৮)। তিনি জেলা ট্রাফিক বিভাগে ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া নিহত সোহেল রানা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার চরবাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের জসিম সরকারের ছেলে। তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকার সিপি কারখানার সামনে জেলা পুলিশের তিন সদস্য ডিউটিরত অবস্থায় একটি মাছবাহী পিকআপ ভ্যানকে থামানোর সংকেত দেন। একপর্যায়ে পিকআপ ভ্যানটি আরও দ্রুত পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিনকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা জামাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পিকআপ ভ্যান চালককে আটক করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানান, পিকআপ চাপায় পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। মরদেহ পুলিশ লাইনে আনা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুয়েট শিক্ষার্থী সোহেল রানার মৃত্যু হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ডুয়েট শিক্ষার্থী সোহেল রানা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি ডুয়েট গেইট এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় সোহেল রানাসহ তার এক সহপাঠী আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেল রানাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জেবি
