সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গায়ে হলুদের সময় অস্ত্রের মুখে কনেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে।
কনে উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চাটিতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে নিপা আক্তার (১৮)। সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম জুনায়েদ। সে একই গ্রামের উত্তর পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে নিপা আক্তারের গত ২৪ আগস্ট কোট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাঠনী পাড়া বরল্লা গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে বদিউ আলমের সঙ্গে। বর ও কনে পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার (সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কনেকে শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার রাতে কনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালীন একই গ্রামের কামাল হোসেনের পুত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ, আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মিলন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল, ছাত্রলীগ নেতা মনসুর, জিসানের নেতৃত্বে প্রায় ৭০/৮০ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিপা আক্তারকে টেনে হিছড়ে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের হামলায় নিপা আক্তারের মা নয়ন বেগমসহ কয়েকজন আহত হয়। তাদের চিৎকারে হামলাকারীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি। ৯৯৯-এ ও থানা পুলিশে বার বার ফোন করে সাহায্য চাইলেও তাদেরকে কেউ কোনো সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন নিপা আক্তারের বাবা আব্দুল কাইয়ুম ও মা নয়ন বেগম। হামলাকারিরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাধিক জনকে মুঠোফোনে ফোন দিলেও তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। তাদের সঙ্গে আমার পারিবারিক বিরোধ থাকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের বাড়ি ওই গ্রামে হওয়ায় বিষয়টি সমাধানে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়েছি, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে । হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।
এফএইচ