সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
শোকের এ আগস্ট মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের অভিপ্রায়ে কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে সব অফিস, থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে বসানো হলো ‘প্রায়োরিটি চেয়ার’।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্থাপিত প্রায়োরিটি চেয়ারে বসে এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বীরপ্রতীক। কুড়িগ্রাম সার্কেল অফিসে প্রায়োরিটি চেয়ারের সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন সরকার এবং কুড়িগ্রামের সদর থানায় প্রায়োরিটি চেয়ারের সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মহির উদ্দিন।
বয়সের ভারে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জমিজমা, সন্তান সন্তানাদি সংক্রান্তসহ নানাবিধ কাজে প্রায়ই পুলিশের কাছে বা থানায় আসেন। পুলিশের স্থাপনায় এসে তারা যাতে গর্বিত অনুভব করেন সে জন্যই তাদের সম্মানার্থে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের সব স্থাপনায় এই প্রায়োরিটি চেয়ারটি সংরক্ষিত থাকবে।
একই সঙ্গে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সিনিয়র সিটিজেন, প্রতিবন্ধী নাগরিক, গর্ভবতী নারী, শিশুসহ প্রাধিকারভুক্ত সম্মানিত নাগরিকরা এই প্রায়োরিটি চেয়ার ব্যবহার করবেন। প্রায়োরিটি চেয়ারের যথাযথ ব্যবহারের জন্য জেলা পুলিশ প্রায়োরিটি চেয়ার প্রটোকল নিশ্চিত করেছে।
আব্দুল হাই সরকার বীরপ্রতীক কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পুলিশ সদস্যদের ইতিবাচক কার্যক্রম এই বয়সেও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমি কুড়িগ্রাম জেলার সব পুলিশ সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সম্পদ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থাকতে জেলা পুলিশ সদস্যরা সবসময় প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা করেন। এই নতুন ক্ষুদ্র উদ্যোগ আমাদের সেরকমই এক প্রচেষ্টা।
এইউ