সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছ থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় শাহবাগ থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইমসিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবার থেকে জানা গেছে সে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। পাঁচ বছর যাবৎ সে বাড়ির বাইরে থাকত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যে কোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন।
এদিকে মৃত ব্যক্তির ছোট ভাই আবু রায়হান ছোটন বলেন, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতো বড় ভাই আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে নেশা করা শুরু করে। গাজা, ইয়াবা সেবন করতো, শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিন নেওয়া শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত হয় তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতো। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া হয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকা শুরু করে। শেষ গত ৫ দিন আগে বাড়িতে গিয়েছিল। চিকিৎসার কথা বলে মা লুৎফুন্নেছার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে ভোরে বের হয়ে যায়। আজ সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই শাহবাগ এলাকায় তার ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করি।
তিনি বলেন, গত সাত থেকে আট বছর আগে নিজের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এই বাড়িতে খারাপ জ্বিন আছে উল্লেখ করে। আবার এলাকার একটি গাছে দড়ি নিয়ে উঠে আত্মহত্যা করতে গিয়ে বলে মৃত মানুষরা তাকে ডাকছে।
অ