সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগে বাংলাদেশ দলকে তিন নম্বরে রেখে বিশ্বকাপ শুরুর দুই মাস আগে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। গত আড়াই বছর ধরে দলকে নেতৃত্ব এবং ওপেনিং সামলানোর কাজটা দারুণভাবে করে আসলেও কদিন পর এশিয়া কাপে তার কোনও সার্ভিস পাবে না দল।
গত মাসে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন তামিম, তবে পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আবারও ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন। তবে অস্থিরতা কাটেনি। শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে হলো তামিমকে। এরপর নানান গুঞ্জন, কে হবেন অধিনায়ক। কেউ চান লিটন দাস আবার কেউ বা সাকিব আল হাসানকে। শোনা যায় মেহেদী হাসান মিরাজের নামও। তবে খালেদ মাহমুদ সুজনের চোখে এগিয়ে সাকিবই। তবে তালিকায় রাখছেন লিটনকেও।
শনিবার শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নেতৃত্ব ইস্যুতে সুজনে বলেছেন, ‘আমি কী ভাবে বলব লিটন দাস না। লিটন সিরিজ জিতিয়েছে ভারতের বিপক্ষে। কিন্তু সাকিব তো অবশ্যই এখানে এগিয়ে থাকবে। সাকিবের মাথা, সাকিবের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা সব কিছু তো অনেক বেশি। তারপরও আমি লিটনকে ছোট করতে চাই না। সে ভালো কাজ করেছে। কিন্তু তবু আমি মনে করি, যে দলে সাকিব আছে… আমার ব্যক্তিগত মতামত, আমি হলে হয়তো সাকিবের কথাই চিন্তা করতাম।’
সুজন মনে করছেন লিটন-মিরাজদের এখনও অনেক সময় পড়ে আছে। যাতে করে তারা আরও পরিপক্ব হয়ে আসতে পারে নেতৃত্বে।
‘লিটন, শান্ত, মিরাজ এরা তৈরি হবে। এদেরই অধিনায়কত্ব করতে হবে। এদের হাতেই আর্মব্যান্ড যাবে। তামিম করবে না, সাকিব একসময় অবসরে যাবে। একসময় মুশফিক অবসরে যাবে। তখন এরাই সিনিয়র হবে। তবে লিটনকে দিলে যে খুব বড় ইস্যু হবে তা নয়। সাকিবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার মনে হয় না সাকিবের কাছে এসব ম্যাটারই করবে। সাকিব লিটনকে অনেক বেশি হেল্প করবে আমি জানি।’
সুজনে আরও বলেন, ‘যদি বোর্ড মনে করে লিটন, তাহলে দ্যাটস নট অ্যা প্রবলেম। লিটন যে রেডি না এটাও বলাটা ঠিক হবে না। ক্লাব লেভেল খেলেছে, জাতীয় দলে খেলছে, তার অভিজ্ঞতাটাও অনেক ভালো। যেহেতু ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি, তাই লিটনের কথা বার বার আসবে। কিন্তু এখনো সাকিব যেহেতু আছে, আমার মনে হয় আমাদের হাতে খুব ভালো একটা চয়েজ আছে।’
এমআর/