সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চিটাগাংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে রান আউটের পর, সতীর্থ মালানের সঙ্গে কোনো ঝামেলাই হয়নি। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে এমন দাবি তামিম ইকবালের।
এবার বরিশাল অধিনায়কের বিবৃতির পক্ষেই কথা বলেছেন দাউইদ মালানও। ইংলিশ ব্যাটসম্যান বলেছেন, ঘাটতির জন্যই তামিমকে নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করেন অনেকেই। তবে টিভি স্ক্রিনে ধরা পড়া উত্তেজনা কার সঙ্গে ছিলো, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি দাউইদ মালান।
তামিম ইকবালের ব্যাট ও মাঠের বাইরের আলোচনা সমালোচনা। দুটোই চলছে পাল্লা দিয়ে। চলতি বিপিএলে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক মাঠে বেশ ক'বারই মেজাজ হারিয়েছেন। অ্যালেক্স হেলসকে দিয়ে শুরু, এরপর সাব্বির রহমান সবশেষ দাউইদ মালান। কিন্তু খালি চোখে যা দেখা যায় তার কতটা ঠিক? অন্তত তামিমের দাবি, শতভাগ নয় মোটেও।
অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেও তামিম বলেছেন ইকবাল হোসেন ইমনকে নাকি অ্যাবিউস করেছিলেন হেলস। অবশ্য সাব্বিরের ইস্যুতে মুখে এখনও তালা তার। কিন্তু দাউইদ মালানের সঙ্গে রান আউটে ভুল-বোঝাবুঝির পর মাঠে উত্তপ্ত দেখা গেছে দু'জনকেই। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও আসে। এ বিষয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক। যেখানে তামিম দাবি করেছেন মালানের সঙ্গে কিছুই হয়নি তার।
এ নিয়ে মুখ খুলেছেন দাউইদ মালানও। সোমবার (২০ জানুয়ারি) অনুশীলন ছিলো না বরিশালের। টিম হোটেলে নির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে পুরো বিষয়কে দুঃখজনক বলেছেন এই ইংলিশ ওপেনার।
বরিশালের ওপেনার দাউইদ মালান বলেন, ‘এটা একদমই অসত্য। তামিম একটা কথাও বলেনি। আমি হাত তুলে বলেছিলাম সরি। তামিম পরে চলে গেলো। আমি অন্য ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তামিমের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। কোনো ইস্যু কখনও ছিলো না, রাগ করেও কিছু বলিনি। আসলে মিডিয়া সবসময়ই গল্প বানাতে চায় হয়তো। সম্ভবত তামিমকে ঘিরে কিছু হলে এটা ভালো হেডলাইনে যায়। লোকে তাকে সবসময় বিপদে ফেলতে চায়।’
তাহলে প্রশ্ন আসে মাঠে কার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেছিলেন মালান! জবাবে অবশ্য মাঠের ক্রিকেটকে মাঠেই রাখতে চান তিনি।
দাউইদ মালান বলেন, ‘আসলে এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। মাঠের ক্রিকেট মাঠেই থাকুক। কে ছিলো তা জেনে লাভ নেই। ম্যাচ শেষে সবকিছু শেষ হওয়া দরকার। হাত মেলানো, মুভ অন করা, চলে আসা। মাঠের ক্রিকেটে হিট অব দ্য মোমেন্ট থাকবেই। তবে বারবারই কেন একজনের নামই আসে তাও প্রশ্নের দাবি রাখে। এই ইস্যুতে আরও সহনশীল হতে হবে সব পক্ষকেই।’
কে