দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। কার্বন নির্গমন কমাতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব নেতারা। তবে, সেই প্রচেষ্টায় ধুলোবালি। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে রেকর্ড কার্বন নির্গমন করেছে বিশ্ব। শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর দ্য ফোর্বসের।
আইইএর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে জ্বালানিসম্পর্কিত সেক্টর থেকে কার্বন নির্গমন হয়েছে তিন হাজার ৭৪০ কোটি টন। যা ২০২২ সালের থেকে ৪১ কোটি টন বেশি। ওই বছরে জ্বালানিসম্পর্কিত সেক্টর থেকে নির্গত হয়েছিল ৪৯ কোটি টন কার্বন।
বছরটিতে কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নির্গমন বেড়েছে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত।
কি কারণে কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে, এমন তথ্য জানিয়ে আইইএ বলছে, বিশ্বজুড়ে তীব্র খরা কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির মূল কারণ। বৃষ্টি কম হওয়ায় জলবিদ্যুতের উৎপাদন আগের তুলনায় কমে যায়। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে হয়।
বৃষ্টিপাত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হতো না এবং কার্বন নির্গমন বাড়তো না বলে আইইএর প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বৈশ্বিক সংস্থাটি বলছে, মহামারি পরবর্তী সময়ে নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙা করতে জোর প্রচেষ্টা চালায় দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারত। এর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হয় তাদের। তবে, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ দুটি। বছরটিতে বিদ্যুৎ খাত থেকে দেশ দুটি যথাক্রমে ৫৬ কোটি ৫০ লাখ ও ১৯ কোটি টন কার্বন নির্গমন করে। আইইএ বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে মানুষেরা। জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বৃদ্ধি দ্বিগুণ ছিল। যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ না বাড়তো তাহলে ২০২৩ সালে কার্বন নির্গমন তিনগুণ বাড়তো।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ফাতেহ বিরল বলেন, সবশেষ পাঁচ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে। মহামারি, জ্বালানির সংকট ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে লাইনচ্যুত করতে চেয়েছিল।’
এম