সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নারীর সৌন্দর্যে চুলের ভূমিকা অপরিসীম। একগোছা লম্বা ও রেশমি চুল মানেই এক অপরূপ সৌন্দর্য। তবে সবার এমন চুল থাকে না। এক্ষেত্রে অনেকের চুল জেনেটিক্যালি পাতলা হয়ে থাকে। আবার অনেকের হরমোনাল সমস্যা, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন কিংবা ভুল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে হয়ে থাকে।
কারণ যাই হোক না কেন, নারীর সাজ পরিপূর্ণ করতে কিন্তু সুন্দর হেয়ারস্টাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পাতলা এবং ফ্ল্যাট চুল থাকা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এমন চুলে পছন্দমতো স্টাইল করা বেশ কঠিন। তবে কয়েকটি হেয়ার স্টাইল আছে যেগুলো পাতলা চুলের জন্য কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।
যাদের চুল পাতলা, তাদের বেশিরভাগেরই চুলের সামনের অংশে ভলিউম কম থাকে। যদি আপনার ক্ষেত্রেও এমন হয়, তাহলে এই হেয়ারস্টাইল ট্রাই করতে পারেন। মাঝারি থেকে লম্বা চুলের জন্য এই স্টাইলটি একদম পারফেক্ট।
এর জন্য প্রথমেই চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। এরপর যেকোনো একপাশের সামনের চুলগুলো থেকে কিছুটা অংশ আলাদা করে নিন। তারপর ধীরে ধীরে সেগুলো টুইস্ট করতে থাকুন। এরপর টুইস্ট করা চুল পেছনে নিয়ে ক্লিপের সাহায্যে আটকে নিন।
একই পদ্ধতিতে অন্যপাশেও করুন। তারপর পেছনের চুলগুলো হালকা হাতে খোঁপা করে নিন অথবা ছেড়েই রাখুন। ব্যস! হয়ে গেলো সহজ ও ট্রেন্ডি হেয়ারস্টাইল।
পাতলা ও স্ট্রেইট চুলে ইনস্ট্যান্ট ভলিউম আনতে হেয়ার কার্ল একটি দারুণ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিচের অংশটুকু কার্ল করতে পারেন, কারণ পাতলা চুলে এভাবে কার্ল করা হলে চুল দেখতে অনেকটা ভলিউমিনাস ও বাউন্সি লাগে।
এই স্টাইলটি করতে প্রথমেই চুলে হিট প্রোটেকটিং স্প্রে বা সিরাম ইউজ করে নিন। তারপর হেয়ার কার্লার দিয়ে খুব সাবধানে চুল কার্ল করতে থাকুন। আপনার চুল ছোট হলে কার্ল করার পর ছেড়েই রাখতে পারেন।
ওয়েস্টার্ন ড্রেস, কামিজ বা শাড়ির সঙ্গে এই হেয়ারস্টাইল করতে পারেন, দেখতে বেশ ভালো লাগবে। যদি হাতের কাছে ফুল থাকে, তাহলে আপনার সাজে ট্র্যাডিশনাল ভাইব বা ঐতিহ্যগত ভাব আনতে চুলের একপাশে সেটি লাগিয়ে নিতে পারেন।
আবার চুলের দৌর্ঘ যদি মাঝারি বা লম্বা হয়, তাহলে কার্ল করার পর লুজ বেণি করতে পারেন। এক্ষেত্রে চাইলে সাধারণ বেণি অথবা ফ্রেঞ্চ বেণিও খুব সুন্দর লাগবে। যদি সাধারণ বেণি করেন, তাহলে এর প্রতিটা সেকশন আঙুলের সাহায্যে একটু লুজ করে দিন। এভাবে হেয়ারস্টাইল করে আপনি যেকোনো অনুষ্ঠানে যেমন- গায়ে হলুদ, বিয়ে কিংবা অন্য যেকোনো দাওয়াতে যেতে পারবেন।
ব্যাক কম্বিং এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে পাতলা চুলেও স্টাইল করা যায়। এটি অনুসরণ করে বিভিন্নভাবে হেয়ারস্টাইল করা যায়।
প্রথমেই চিরুনির সাহায্যে সামনের দিক থেকে কিছু চুল আলাদা করে নিয়ে টিজ করুন। অথবা ফ্রন্ট পাফ না করে মাঝ বরাবর সিঁথি করে নিয়ে পেছনের চুল হালকা পাফ করতে পারেন। টিজিং কম্ব নিয়ে মাঝের চুলগুলো ব্যাক কম্ব করা শুরু করুন। পাফ করা হয়ে গেলে চুলগুলো ক্লিপের সাহায্যে পেছনে আটকে নিন।
প্রয়োজনে হেয়ার স্প্রে দিয়ে পাফ সেট করে নিতে পারেন। এবার সামনে ছেড়ে রাখা চুলগুলো পছন্দমতো স্টাইল করে নিন (বেণি বা টুইস্ট করতে পারেন)। এক্ষেত্রে পেছনের চুল ছেড়েও রাখতে পারেন। নিচের দিকে কার্ল করে নিলে দেখতে দারুণ লাগবে।
তবে, যদি কোনো ফরমাল ইভেন্ট হয়, তাহলে পেছনের চুলগুলো দিয়ে পনিটেইল করে ফেলুন। এতে স্লিক লুক আসবে, আবার দেখতেও স্মার্ট লাগবে। এই হেয়ারস্টাইল অফিস মিটিং, প্রেজেন্টেশনের জন্য একদম পারফেক্ট।
এই হেয়ারস্টাইল ৩টি করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। আর এটি ঘরে বসে নিজেই করতে পারবেন। তাই এই হেয়ারস্টাইলগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বিশেষ করে যাদের চুল পাতলা, তাদেরকে এই ধরনের হেয়ারলুকে দারুণ মানাবে।
এস