সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
দেখতে ডোবা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি মিরপুর সাংবাদিক কলোনি হয়ে বাউনিয়া খাল। মিরপুর ১০, ১১ ও ১৩-র বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয় এই খাল দিয়ে। অথচ স্থানীয় প্রভাবশালীরা হজম করার সব আয়োজনই চূড়ান্ত করেছে এ খাল নিয়ে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের হিসেবে মিরপুর সাংবাদিক কলোনি থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত যেখানে খালের প্রস্থ থাকার কথা ৪০ ফিট, সেখানে দেশ টিভির অনুসন্ধানে মেলে খাল গিলে খাওয়ার চিত্র।
বছরের পর বছর এমন দখল চললেও সরকারের কোনো সংস্থাই তাদের এ কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অন্যদিকে খালপাড়ের মানুষের ময়লা-আবর্জনার শেষ ঠিকানা যেন এই খালটি। ফলে যেটুকু বেঁচে আছে সেটিও প্রায় অনেকটাই মৃত হওয়ার পথে। রক্ষণাবেক্ষণের কোনো চিত্রই দেখা মেলেনি। এতে অতিষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারাও। খালের জায়গা দখল করে এখনও দুপাশে গড়ে উঠছে অসংখ্য দালান। ভবনমালিকদের কেউ কেউ দাবী করছেন জায়গা কিনে নেওয়ার। আবার কেউ কেউ বলছেন টাকা দিয়ে কিনেছেন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
কারও কারও দাবি, ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে খাল যাওয়ায় তারা নিজেদের জমি ভরাট করে বাড়ি বানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় কারও কারও মুখে উঠে আসে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের নাম যারা পূর্বপুরুষের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে খালের জায়গা বিক্রি করে আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা। যাদের কাছে অনেকটাই অসহায় প্রশাসনও।
এখানেই শেষ নয়, স্বয়ং কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ খাল দখলের। সাংবাদিক কলোনি খালের পাশ ঘিরে এই ভবনটির মালিক ঢাকা উত্তর সিটির কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু। বিষয়টি দেশ টিভির কাছে স্বীকারও করেন তিনি। বলেন, জায়গা কার জানিনা। অফিস দরকার অফিস করেছি শেষ।
খাল দখল নিয়ে দেশ টিভির মুখোমুখি হন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, মিরপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী। জানান, সাংবাদিক কলোনি হয়ে বাউনিয়া পর্যন্ত খালটি দেওয়া হয় ঢাকা ওয়াসাকে। পরবর্তীতে রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব পায় উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে অবৈধভাবে খাল দখলের কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কেউ খাল দখলের সঙ্গে জড়িত থাকার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে খাল দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। শুধু তাই নয়, সিটি করপোরেশনের সহযোগীতায় খাল পরিষ্কার করাও জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয়দের দাবি অচিরেই দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবেন সংশ্লিষ্টরা।
এফএইচ